নামাজের সামনে দিয়ে কী হাঁটা যাবেই না। অথবা হাঁটা গেলে কতটুকু সামনে দিয়ে হাঁটা যাবে?

নামাজি-ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত এতে কীরূপ শাস্তি-ভোগের আশংকা রয়েছে, তবে চল্লিশ পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে থাকাও ভালো মনে করতো। বর্ণনাকারী আবুন নাযর বলেন, আমার জানা নেই, হাদীসে চল্লিশের কী অর্থ, চল্লিশ দিন, চল্লিশ মাস, নাকি চল্লিশ বছর! (সহীহ বুখারী ৫১০ , সহীহ মুসলিম ৫০৭) কিন্তু মুসল্লির সামনে দিয়ে বলতে কী বোঝায়? মুসল্লির সেজদার যতটুকু জায়গা রয়েছে, ততটুকু জায়গা দিয়ে অতিক্রম করতে পারবে না। এটা হলো ইসলামের বিধান।

আমরা আসলে না জানার কারণে জিনিসগুলোকে সীমা লঙ্ঘনে নিয়ে যাই এবং বাড়াবাড়ি করে ফেলি। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুসল্লির সেজদাহ পর্যন্ত এতটুকু জায়গার অধিকার আছে।’ এর মধ্যে যদি কেউ প্রবেশ করে তাহলে মুসল্লির অধিকার আছে তাঁকে বাধা দেওয়ার। কিন্তু সেজদার জায়গার বাইরে দিয়ে, সামনে দিয়ে চলে গেলে তাতে কোনো অসুবিধা নেই। তা না হলে তো মসজিদে লোক নামাজ পড়লে সামনের কেউ বের হতে পারবে না। প্রয়োজনে তো মানুষকে বের হতে হবে।

মুসল্লির অধিকার হলো, তিনি যেখানে দাঁড়ালেন সেখান থেকে তাঁর সেজদার জায়গা পর্যন্ত। এর মাঝ দিয়ে কেউ যেতে পারবে না এটি বড় গুনাহর কাজ। কিন্তু সেজদার বাইরে, সামনে দিয়ে যেতে পারবে। কারণ এটি রাসুল (সা.) নিষেধ করেননি, নিষেধ করেছেন শুধু তাঁর সেজদাহর জায়গার ভেতর দিয়ে হাঁটা। এটা হাদিসে একদম স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তাঁর সামনে, কিন্তু বহুদূরে না। বহুদূর দিয়ে কেউ অতিক্রম করতে পারে কারণ তা না হলে তো মসজিদে ঢুকলে আর কেউ বের হতে পারবে না। এ জন্য এটাকে কঠিন করার বিষয় না। এগুলো বোঝার বিষয় রয়েছে।